1. admin@nysamachar.com : admin :
  2. editor@gmail.com : Editor :

ট্রাম্পের হুমকির মুখে কানাডা আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে

  • আপলোডের সময়: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫
  • ২২ Time View

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি রোববার আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, তার দেশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং সংযুক্তির হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরো শক্তিশালী ম্যান্ডেটের আশা করছেন।

অটোয়া থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মধ্যপন্থী লিবারেল পার্টি সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নি কখনও বৃহত্তর কানাডিয়ান ভোটারদের মুখোমুখি হননি।

২৮ এপ্রিল যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী কার্নি ঘোষণা করেন যে তিনি অক্টোবরের বেশ কয়েক মাস আগে সংসদ নির্বাচন করছেন, তাহলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে।

সরকারি একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে যে, তিনি স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কানাডার ৪১ মিলিয়ন জনসংখ্যার শক্তিশালী জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।

এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল সরকার গভীর অজনপ্রিয়তার মধ্যে পড়েছিল। তবে ট্রাম্পের হুমকির কারণে কার্নি কানাডিয়ান দেশপ্রেমের ফলে নতুন সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের আশা করছেন।

ট্রাম্প তার উত্তর প্রতিবেশীর সার্বভৌমত্ব এবং সীমান্তকে বারবার কৃত্রিম বলে উড়িয়ে দিয়ে এবং ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে তাকে ক্ষুব্ধ করেছেন।

ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের সাথে এই অশুভ মন্তব্যও যুক্ত হয়েছে। কানাডা থেকে আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যা তার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

কার্নি বৃহস্পতিবার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এডমন্টনে এক বক্তৃতায় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই সংকটের সময়ে সরকারের একটি শক্তিশালী এবং স্পষ্ট ম্যান্ডেট প্রয়োজন।

জীবনযাত্রার ব্যয় এবং অভিবাসনের মতো ঘরোয়া বিষয়গুলো সাধারণত কানাডার নির্বাচনে প্রাধান্য পায়। তবে এই বছর একটি মূল বিষয় তালিকার শীর্ষে রয়েছে তাহলো ট্রাম্পকে কে সবচেয়ে ভালোভাবে সামলাতে পারবে।

ন্যাটো মিত্র এবং ঐতিহাসিকভাবে তার দেশের অন্যতম ঘনিষ্ঠ অংশীদার। তার উত্তর প্রতিবেশীর প্রতি প্রেসিডেন্টের প্রকাশ্য শত্রুতা কানাডিয়ার রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে উল্টে দিয়েছে।

৬০ বছর বয়সী কার্নি তার কর্মজীবন নির্বাচনী রাজনীতির বাইরে কাটিয়েছেন। তিনি গোল্ডম্যান শ্যাক্সে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন এবং কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, তারপর ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার হাত শক্তিশালী করার জন্য কানাডিয়ানরা যদি দুটি বড় দলের মধ্যে একটিকে বৃহৎ ম্যান্ডেট দিতে চায়, তাহলে ছোট বিরোধী দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

শেয়ার করুন

আরো পড়ূন
© All rights reserved New York Samachar 2024
Site Customized By NewsTech.Com