রেস্ট ট্রেমর : রেস্টে বা কোনো কাজ ছাড়াই হাত কাঁপতে থাকে। এটা সাধারণত পারকিনসন্স ডিজিজে পাওয়া যায়। হাত কোনো জায়গায় রাখলে অনবরত কাঁপতে থাকে।
রেস্ট ট্রেমর : রেস্টে বা কোনো কাজ ছাড়াই হাত কাঁপতে থাকে। এটা সাধারণত পারকিনসন্স ডিজিজে পাওয়া যায়। হাত কোনো জায়গায় রাখলে অনবরত কাঁপতে থাকে।
পসচুরাল ট্রেমর : হাত ছড়িয়ে দিলে তাতে কাঁপুনি দেখা যায়। পসচার বা শূন্যে অবস্থানের কারণে যে ট্রেমর হয় তাই পসচুরাল ট্রেমর। এটির আবার বিভিন্ন ভাগ আছে। এ ধরনের ট্রেমরের অন্যতম কারণ হলো এসেনশিয়াল ট্রেমর। এটির কোনো কারণ জানা যায় না, তাই এটিকে এসেনশিয়াল ট্রেমর বলা হয়। বংশে কারো থাকলে এটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৫০ শতাংশ।
শরীরের অনেক অঙ্গে এসেনশিয়াল ট্রেমর হতে পারে। মূলত হাতে বেশি হয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তি হাত ছড়িয়ে দিলে হাতে কাঁপুনি দেখা দেয়।
কারণ কী?
কোনো কারণ জানা যায় না। তবে কিছু কিছু কারণে কাঁপতে পারে। যেমন: হাইপোগ্লাইসেমিয়া, থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য, স্ট্রেস, নার্ভের রোগ ইত্যাদিতে এ ধরনের কাঁপুনি দেখা যেতে পারে। তবে তা এসেনশিয়াল ট্রেমরের মতো এত দীর্ঘমেয়াদি হয় না। কাজেই এসেনশিয়াল ট্রেমর ডায়াগনোসিস করার আগে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়।
চিকিৎসা কী?
এসেনশিয়াল ট্রেমরের বেশ ভালো চিকিৎসা আছে। ওষুধের দাম খুবই কম। দেশের সব জায়গায় পাওয়া যায়। তবে সমস্যা হলো ওষুধ আজীবন খেতে হয়। প্রেসার, ডায়াবেটিসের ওষুধ যেমন আজীবন খেতে হয় অনেকটা সে রকম। কাঁপুনি রোগ ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু
সহকারী অধ্যাপক
ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগ
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স